মেয়েদের যৌন আনন্দ দেওয়ার পদ্ধতি
বলতে গেলে মেয়েদের প্রায় সম্পূর্ণ দেহটিই স্পর্শকাতর। তার মাঝেও কিছু কিছু বিশেষ স্থান রয়েছে যে অঙ্গগুলোতে আদর পেলে তারা চূড়ান্ত উত্তেজনার দিকে তড়িৎগতিতে অগ্রসর হয়। তবে ছেলেদের দেহেরও শুধুমাত্র লিঙ্গই তাদের একমাত্র যৌন অঙ্গ নয়। আজকাল এমনকি আমাদের দেশের ৮ - ১০ বছরের ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত জেনে যাচ্ছে কিভাবে সেক্স করতে হয়। তাই বলতে পারেন বিয়ে তো বহুদূরের কথা, এখনকার ছেলেমেয়েদের গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড হওয়ার আগেই তারা এ বিষয়ে বহু কিছু জানে।
কিন্ত তাদের এ জানাটাই কি যথেষ্ট? ছোটবেলা বাচ্চারা একটা খেলা খেলে, এই খেলাকে ওরা বলে ডক্টর ডক্টর খেলা। বিশেষ করে একটি বাচ্চা ছেলে এবং মেয়ে খেলার সাথী থাকলেই তারা লুকিয়ে লুকিয়ে এই খেলা খেলে থাকে। এতে উভয়েই কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে একজন-আরেকজনের যৌন-অঙ্গগুলো নিয়ে খেলা করে, এবং এভাবে তাদের মাঝে পার্থক্য আবিস্কার করে। হ্যা, সবার অবশ্য এ অভিজ্ঞতা হয়না। তবে সে আর যাই হোক মোটকথা আমাদের সঙ্গী/সঙ্গিনীকে পরিপূর্ন যৌনসুখ দিতে হলে তাদের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গগুলো সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারনা থাকা অবশ্যই দরকার। অনেকে আবার বলতে পারেন কি দরকার? নিজে মজা পেলেই তো হল। তাদের জন্য বলছি, আমার এ প্রচেষ্টা ভালোবাসার অনুভুতিবিহীন যৌন লালসাময় সেক্সের জন্য নয়। যে তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ভালবাসে সে অবশ্যই চাইবে তাকে পর্যাপ্ত আনন্দ দিতে এবং এতে সে নিজেও আনন্দ লাভ করতে।
ছেলে ও মেয়ের যৌনকাতর অঙ্গগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই Common অঙ্গ রয়েছে এবং তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছেলে বা মেয়ে ভেদে প্রায় একই হলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য আছে। এসকল বিষয় উল্লেখপূর্বক এখানে আমি তাদের এ অঙ্গগুলোর বিবরন ছাড়াও কি কি উপায়ে সেগুলোকে উত্তেজিত করে তোলা যেতে পারে তার উপরেও আলোচনা করেছি। আশা করছি পড়ে সবার ভালো লাগবে।
মেয়েদের ক্ষেত্রেঃ মেয়েদের দেহের বেশ কয়েকটি যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ আছে যেগুলো সরাসরি তাদের যৌনত্তেজনার সূত্রপাত ঘটায়। সাধারন অবস্থা থেকে এ জায়গাগুলোর মাধ্যমেই একটি ছেলে তার মাঝে যৌন অনুভুতি জাগিয়ে তুলতে পারে। আর কিছু অঙ্গ আছে যেগুলো মেয়েদের যৌনত্তেজনার সূচনা ঘটার পরেই উত্তেজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। অথচ সাধারন অবস্থায় এগুলোকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করলে মেয়েটি ব্যাথা বা অসস্তিও বোধ করতে পারে। মেয়েদের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গটিও এই দ্বিতীয় শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত।
১. ঠোট ও জিহবাঃ ঠোট নারীদেহের সবচাইতে যৌন উত্তেজক অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অংশ। তার ঠোটের মাধ্যমেই সমগ্র নারীদেহ উত্তেজনার সূচনার সবচেয়ে জোরালো সংকেতটি গ্রহন করে। ছেলের ঠোটের স্পর্শ মেয়েটির সারা দেহে বিদ্যুতের গতিতে কামনার আগুন ছড়িয়ে দেয়।
২. গাল, কপাল ও কানের লতিঃ মেয়েদের এ জায়গাগুলো তাদের যৌন উত্তেজনার অন্যতম সূচক হিসেবে কাজ করে।
৩. গলাঃ মেয়েদের গলায় স্পর্শ ওদের উত্তেজনায় পথে এগিয়ে নিতে যথেষ্ট ভুমিকা রাখে। গলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা।
৪. স্তনঃ মেয়েদের দেহের সবচাইতে যৌনকাতর অঙ্গগুলির মাঝে তাদের স্তন যে এক বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে তা বলাই বাহুল্য। মেয়েভেদে স্তনের আকার ছোট বড় হয় সে হিসেবে তাদের স্পর্শকাতরতারও কিছুটা আলাদা আলাদা হয়। মেয়েদের স্তনের বেশিরভাগ অংশই চর্বি দিয়ে গঠিত। শরীরের চর্বিবহুল অংশগুলোতে এমনিতেই স্পর্শকাতরতা একটু কম হয়। এ কারনেই যে সকল মেয়েদের স্তন বেশি বড় থাকে, স্বভাবতই তাদের স্তনের সংবেদনশীলতা তুলনামূলক ছোট স্তনের অধিকারী মেয়েদের থেকে সামান্য হলেও কম থাকে।
৫. উভয় স্তনের মাঝের ফাকা স্থান (Cleavage): মেয়েরা তাদের স্তনে ছেলেদের মুখ বা আদর আশা করার পূর্বেই অবচেতন মনে তার দেহের যে অংশটি তার সৌন্দর্যকে অপরূপভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সেই স্তনের ভাজে ছেলেটির আদর চায়।
৬. বগলের নিচেঃ মেয়েদের বগলের নিচে যে তাদের যৌনস্পর্শকাতর একটি জায়গা রয়েছে তা পুরুষেরই অজানা।
৭. নাভীঃ মেয়েদের নাভী ও তার আশেপাশের স্থানগুলো মোটামুটি সংবেদনশীল।
৮. নিতম্বঃ নিতম্ব হলো মেয়েদের দেহের সবচেয়ে চর্বিবৎসল অংশ; দেহের অন্য যেকোন স্থানের চেয়ে এর সংবেদনশীলতা তুলনামূলক কম।
৯. হাটুঃ হাটু একটি মোটামুটি স্পর্শকাতর অঙ্গ। সরাসরি সেক্স করার সময় এর ভুমিকা তেমন একটা নেই। তবে সেক্সের সূচনায় হাটু বেশ কিছুটা অবদান রাখে।
১০. উরু এবং পায়ের পাতাঃ মেয়েদের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ হল উরুদ্বয়। বিশেষত হাটুর উপরিভাগ থেকে এর স্পর্শকাতরতা বাড়তে বাড়তে উরুসন্ধি, তথা তাদের যোনির আশেপাশে গিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে। এটিও সেসব অঙ্গের অন্তর্ভুক্ত যেগুলো দ্বারা সরাসরি মেয়েরা উত্তেজনার সূচনা ঘটিয়ে যৌন আনন্দ দেয়া যায়। যোনির কাছাকাছি বলে এর মাধ্যমে মূলত মেয়েদের যোনিতে স্পর্শ পাবার জন্য উন্মুখ করে তোলে।
১১. যোনি ও এর চারপাশের অঞ্চলঃ যোনি বলতে আমরা অনেকেই মেয়েদের উরুসন্ধির সমগ্র অঞ্চলটাকেই বুঝি; কিন্ত প্রকৃতপক্ষে মেয়েদের যে রাস্তা দিয়ে ছেলেদের লিঙ্গ ঢুকে শুধু সেটাকেই যোনি বলে। এর চারপাশে যে অঞ্চলগুলো রয়েছে, সেগুলোকে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়। সংবেদনশীলতায় এদের একটি আরেকটি হতে তুলনামূলক ভিন্ন রকমের হয়। তবে এ স্থানসমূহ নারীদেহের অন্য যেকোন স্থান হতে বেশি স্পর্শকাতর। কারণ হচ্ছে যোনির অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা। এর ল্যাবিয়া মাইনরা ও ম্যাজরা অঞ্চল সরাসরি স্পর্শের মাধ্যমে উত্তেজিত করা যায়। অর্থাৎ মেয়েটিকে উত্তেজিত করে তুলার জন্য প্রথম দিকে এগুলো নিয়ে খেলা করলে মেয়েটি মজা পায় ঠিকই কিন্ত এটি দেহের সবচেয়ে বেশি যৌনকাতর অঙ্গ। তাই এর অন্য নাম হল আনন্দের সুইচ (Pleasure button), সেই ভগাঙ্কুরের (Clitoris) স্পর্শকাতরতা হেলাফেলা করার নয়।
নিচে আলাদা আলাদা করে মেয়েদের যোনি অঞ্চলের অংশগুলোর কথা উল্লেখ করা হলঃ
ক) মোনস পিউবিসঃ যোনির একেবারে উপরিভাগে যে ফোলা ফোলা অংশ থাকে এটাকে মোনস পিউবিস বলে। এ অঞ্চলেই মেয়েদের যৌনকেশ সবচেয়ে বেশি থাকে। কেউ কেউ এ অঞ্চলটিতে যৌনকেশ পছন্দ করেন আবার অনেকে সেভ করা পছন্দ করেন। তবে যেভাবেই হোক এ স্থানটি বেশ সংবেদনশীল।
খ) ল্যাবিয়া মেজরাঃ মোনস পিউবিসের নিচেই সমগ্র যোনি অঞ্চলকে ঘিরে থাকা বড় নিম্ন ঠোট হিসেবে পরিচিত পাতলা চামড়ার অংশ হলো ল্যাবিয়া মেজরা। ছেলেদের অন্ডথলির চামড়ার মত একই ধরনের Embryonic tissue দিয়ে এটি গঠিত। মেয়েরা উত্তেজিত হলে এটি প্রসারিত হয়ে যায়। এটি যথেষ্ট স্পর্শকাতর হলেও, যোনির অন্য অঞ্চল থেক তুলনামূলক কম সংবেদনশীল।
গ) ল্যাবিয়া মাইনোরাঃ ল্যাবিয়া মেজরার ভিতরের অংশে ভাঁজে থাকে ল্যাবিয়া মাইনোরা (ছোট নিম্ন ঠোট)।এই চামড়ার স্তরটি ভগাঙ্কর, মুত্রপথ ও যোনিকে ঘিরে থাকে। অনুত্তেজিত অবস্থায় এটি মেয়েদের যোনিমুখ ঢেকে রাখে। ল্যাবিয়া মাইনোরার ভিতরের স্তরে অসংখ্য ছোট ছোট তেল গ্রন্থি রয়েছে। প্রচূর স্নায়ুকোষ সমৃদ্ধ এ অঞ্চলটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং মেয়েদের যোনি অঞ্চলের উত্তেজনায় গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে।
ঘ) যোনিঃ
নারীদেহের প্রজনন অংগের প্রধান অংশ হলো যোনি। ম্যাবিয়া মাইনোরার ভেতরে ক্লাইটোরিস গ্ল্যান্ড ও মূত্রছিদ্রের নিচেই যোনি মুখ অবস্থিত। যোনি নারীদেহের অত্যন্ত স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ছেলেরা মেয়েদের আদর করার সময় মেয়েদের যোনি উত্তেজিত হয়ে আকারে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেড়ে যায়। যোনির এই প্রসারনের ফলে যোনিনলের ভেতরের দেয়ালের মিউকাস মেমব্রেন ও যোনিমুখের কাছাকাছি বার্থোলিন গ্লান্ড বা ছোট ভেস্টিবুলার গ্ল্যান্ড থেকে কিছু পরিমানে তরল নির্গত হয়। এবেং এই তরল যোনিমুখ ও পথকে পিচ্ছিল করে। মূলত এই তরলকেই আমরা যোনিরস হিসেবে জানি।
যোনির ভেতরের দিকের দেয়ালে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ুপ্রান্ত। যেগুলি প্রকৃতপক্ষে ক্লাইটোরিসেরই শাখা। তাই যোনিতে কোন কিছু প্রবেশ করলে মেয়েরা দারুন আনন্দ লাভ করে।
ঙ) ক্লাইটোরিস (Clitoris): নারী দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর অংশ ক্লাইটোরিস। এটি মূলত অনেকগুলি স্পর্শকাতর স্থানের একটি সমন্বয় যা সমগ্র যোনি অঞ্চলের উপরে দৃশ্যমান ও তার পাশাপাশি ভিতরের অংশে ছড়িয়ে আছে। অনেকে মনে করেন, ল্যাবিয়া মাইনরায় মুত্রছিদ্রের উপরের দিকে অবস্থিত সামান্য ফোলা স্থানটিই হলো ক্লাইটোরিস। আসলে সেটি হল সমগ্র ক্লাইটোরিসের অংশসমূহের কেন্দ্রবিন্দু মাত্র। ক্লাইটোরাল গ্ল্যান্স বা ভগাঙ্কুর হলো মূল স্পট। ক্লাইটোরিসের একটু উপরে মোনস পিউবিস অঞ্চলের ঠিক নিচেই সামান্য একটু এলাকা জুড়ে যে যৌনকেশবিহীন অঞ্চল রয়েছে, সেটির চামড়ার নিচে আছে ক্লাইটোরাল শ্যাফট। মেয়েদের ক্লাইটোরাল অঞ্চল উত্তেজিত হলে নলাকার এই অংশটি রক্ত এসে স্ফিত হয়ে উঠে যাওয়ায় তা হাত দিয়ে অনুভব করা যায়।
চ) জি-স্পটঃ
মহিলাদের যোনির অংশসমুহের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত অংশ হলো জি-স্পট। এর আবিস্কারকের নামানুসারে এটাকে গ্রাফেনবার্গ স্পট বা সংক্ষেপে জি-স্পট বলে। এটি মেয়েদের শরীরের সবচাইতে স্পর্শকাতর ও আনন্দদায়ক অংশ হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক এক গবেষনায় জানা গেছে যে, জি-স্পট মূলত ক্লাইটোরিসেরই একটি আংশিক বিচ্ছিন্ন অংশ যা অনেকটা আইসিবার্গের মতো। অত্যন্ত সংবেদনশীল এ অঙ্গটির অবস্থান হল যোনিপথের সম্মুখ দেয়ালের প্রায় দুই ইঞ্চি ভেতরে, মহিলাদের মূত্রথলির (Bludder) নিচে। যোনির ভেতর আঙ্গুল দিয়ে অনুভব করলে, এর প্রবেশপথ থেকে কিছুদুর পর্যন্ত যোনির সম্মুখ দেয়ালে ( পায়ুপথের বিপরীত দিকের দেয়ালে) একটু অমসৃন জায়গার আভাস পাওয়া যাবে (কিছুটা আমাদের মুখের ভিতরে জিহবার বিপরীত দিকে উপরে যে অমসৃন অংশটি আছে তার মত)। এ জায়গাটি শেষ হয়ে গেলেই একটি অগভীর গর্তের মত অংশ পাওয়া যাবে। এই গর্তের মত অংশেই মেয়েদের জি-স্পট অবস্থিত। কিন্ত যোনিতে আঙ্গুল ঢুকাতে ঢুকাতে যোনির সম্মুখ দেয়ালের অমসৃন জায়গা পার হয়ে জি স্পট না পেয়ে যদি মসৃন কোন অংশে পৌছে যান, তাহলে বুঝবেন আপনি জি-স্পট পার করে এসেছেন। তাই আবার আঙ্গুল বের করে এনে খুজতে হবে। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে জি-স্পট টিপে টিপে মেয়েদের সাধারন ক্লাইটোরাল অর্গাজমের চেয়েও বেশি আনন্দদায়ক জি-স্পট অর্গাজম করানো যায়, এতে মেয়েরা বেশি আনন্দ পায়। যে মেয়েটি সহজে শীৎকার করেনা এমনকি সেও এই অর্গাজমের সময় পাগলের মত শীৎকার করে উঠবে। জি-স্পট অর্গাজমেই মূলত মেয়েদের ইজেকুলেশন হয়।
আরো পড়ুন:
No comments